হামার দেবীগঞ্জ
দেবীগঞ্জে মডেল মসজিদের উদ্বোধন সম্পন্ন
পঞ্চগড় থেকে সংবাদদাতা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বঙ্গভবন থেকে…
সমৃদ্ধ স্মৃতির নিরন্তর আবর্তন
হামার দেবীগঞ্জ
পঞ্চগড় থেকে সংবাদদাতা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বঙ্গভবন থেকে…
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.
দেবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সৈয়দপুরের মেয়ে রিনা জান্নাত, নয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি কনিষ্ঠ। বিয়ের পর শশুর বাড়িতে থেকেই ঘরে তৈরি করা খাবার অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রির শুরুটা হয় মাস চারেক আগে।
ফেসবুকে পেজ খুলেই দিব্যি অর্ডার পাচ্ছেন, সুলভ মূল্য এবং খাবারের মান ভালো হওয়ায় অনেকে নিয়মিত খাবার নিচ্ছেন।
দেবীগঞ্জ পৌরসভার মুন্সি পাড়া এলাকার পান্নু সাহেবের স্ত্রী তিনি। শশুর বাড়িতে সংসারের দায়িত্বগুলো ভালভাবে পালনের পাশাপাশি নিজস্ব চিন্তা ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
ফেসবুকের পেজ খুলেছেন 'দেবীগঞ্জ অনলাইন রেস্টুরেন্ট' নামে।
ফেসবুকের একটি গ্রুপে রিনা জান্নাতের খাবারের ছবির পোস্ট দৃষ্টিগোচর হয় আমাদের প্রতিনিধির তারপর যোগাযোগ করা হয় তার সাথে। তার ব্যবসায় সম্পর্কে কিছু প্রশ্নত্তোর নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন।
কি কি খাবার নিয়ে কাজ করছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ব্যবসার শুরুটা হয় খুরমি দিয়ে, এছাড়া বর্তমানে ফাস্টফুড, মিস্টি জর্দা, ফেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই, আলু পরোটা, খুরমি, পোলাও, বিরিয়ানি, বাংলা খাবার সহ গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সকল খাবার তিনি সরবরাহ করছেন।
খাবারে দামের বিষয়ে কথা হলে জানান, গ্রাহক যাতে খুশি থাকে এই বিষয়টি ভেবেই গরু বিরিয়ানি ১ প্যাকেট ১৭০ টাকা , মিষ্টি জর্দা ১ প্যাকেট ১০০ টাকা,আলু পরোটা ১ পিস ২০ টাক্,ডালপুরি ১ পিস ১০ টাকা, খুরমি ৫০ পিস ১২০ টাকা রাখা হয় যা খাবারের মানের দিকে লক্ষ করে গ্রাহক স্বাচ্ছন্দ্যে নিতে পারে এর সাথে ডেলিভারি চার্জ ২০ টাকা ধরে নিতে হবে।
রিনা জানান, আপাতত ডেলিভারি কাজটি নিজের ছেলেকে দিয়েই করাচ্ছেন আর একটি সাইকেল যোগাড় করতে পারলে ডেলিভারিতে কোন চার্জ রাখবেন না।
এই কাজে করতে গিয়ে কি কি ধরনের বাধা বা অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ? জানতে চাইলে বলেন,
অনলাইনে মানুষের চিন্তা ভাবনা অন্যরকম, কেউ কেউ অর্ডার দেয়ার আগে আমার ছবি দেখতে চায় যেটা এই বিষয় টা একটু বিরক্তিকর লাগে। হোটেল রেস্তোরাঁর খাবারে অনেকের অরুচি থাকে কিন্তু আমি বাড়িতেই স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে নিজ হাতে সব খাবার প্রস্তুত করি, একাজের জন্য আলাদা কোন লোক রাখিনি তাই রুচিশীল যেকেউ এই খাবার গুলো খেতে পারে। শুরু থেকেই একাজে আমার পরিবার থেকে আমার স্বামী অনেক হেল্প করে ও মোটমুটি সবার সাপোর্ট পাচ্ছি ।
রিনা আরও জানান, "এই কাজ যেহেতু অনলাইন বেসড আমাদের দেবীগঞ্জে প্রচার করার জন্য অনলাইনে তেমন কোন প্লাটফর্ম পাইনি। যেমন ধরেন ফুড লাভারদের জন্য নির্দিষ্ট একটা গ্রুপ হয় সেটা নেই।"
রিনা জান্নাত এ পর্যন্ত ২০ জনের অধিক গ্রাহকের ফিডব্যাক পেয়েছেন। তিনি বলেন, "সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো কাস্টমার সেবা খুব বেশি কাউকে না দিলেও যারা আমার থেকে খাবার নিয়েছে তারা সবাই এখন আমার রিপিট কাস্টমার। ধীরে ধীরে প্রচার হলে ইনশাআল্লাহ এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।"
নতুন যারা এভাবে অনলাইনে কাজ করতে চায় তাদের কি পরামর্শ দিবেন?
রিনা জান্নাতঃ "নতুন করে যারা শুরু করতে চায় তাদের বলবো অনেক ধৈর্য্যশীল হতে হবে আমি যখন শুরু করি তখন প্রথমের দিকে অর্ডার আসা শুরু করে এবং একটা সময়ে আসা বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু আমি হাল ছাড়ি নি রেগুলার আমার প্রোফাইলে, আমার পেইজের পোস্ট করেছি।
এগুলো বিজনেস এ অনেক ধৈর্য্যশীল হতে হয় এবং সৎ তো অবশ্যই থাকতে হবে।"
![]() |
সকাল যখন
হাতছানি দেয় কর্মের,
অলস তখন
বিভোর থাকে স্বপ্নের ৷
দুপুর যখন
বিরতি আনে শ্রমের,
নিন্দুক তখন
উস্কানি দেয় পেছনের ৷
বিকাল যখন
রেখা টানে বাস্তবায়নের ,
উদাসীন তখন
কথা শোনে আগ্রহের ৷
সন্ধ্যা যখন
নিরবে শেখায় হার না মানার,
নির্বোধ তখন
আলো জ্বালায় ঢাকতে আধার ৷
রাত যখন
নিদ্রা আনে পুরো জাহানে,
মাতাল তখন
উল্লাস করে বিষ পানে ৷
ভোর যখন
প্রস্তুতি নেয় সম্ভাবনার,
মুর্খ তখন
সারারাত করে ঘুমেই সাবার ৷৷ ৷৷
লেখকঃ ইমরান আলী
দেবীগঞ্জ, পঞ্চগড় ৷
অনেক প্রতিক্ষা ও জল্পনা কল্পনার পর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ কোটি ২লাখ ৬৯ হাজার ৮১৬টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদের নির্মাণকাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
প্রশ্নঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মান অতীতে কেমন ছিল এবং বর্তমানে কেমন আছে বলে আপনি মনে করেন?
বর্তমান শিক্ষকরা ভালো মানের গবেষক এবং তারা ইয়াং ট্যালেন্টেড শিক্ষক এতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের দেশে খুব ভালো স্কলার ও শিক্ষক আছেন যারা খুব ভালো পড়ান। এবং এই শিক্ষকরা সারাজীবন অনেক পড়ালেখা করেছেন বলেই চারবার ফাস্ট ক্লাস পেয়ে তারা টিচার হয়েছেন। এখানে আমার কোন দ্বিমত নেই। শুধুমাত্র একটা বিষয় আছে যেটা আমি বলব যে, আমাদের শিক্ষকদের কমিটমেন্টের অভাব আছে। কিসের কমিটমেন্ট? নিজের ডেভলপমেন্টের নয়, নিজের উচ্চতর ডিগ্রির জন্যও নয় বরং ছাত্র-ছাত্রীদের দেবার ক্ষেত্রে ঘাটতি আছে। ছাত্র-ছাত্রীদের যদি এভারেজ টাইম হিসেবে বিবেচিত করেন, একজন ডিপার্টমেন্টের টিচার তাদের কতক্ষণ সময় দেয়? ইট ইজ ভেরি পোর। শিক্ষকদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি অধিকাংশ শিক্ষকদের যে সময় দেওয়া দরকার শিক্ষার্থীদের ডিপার্টমেন্টের তা দিতে পারছেন না। এতে করে কি হবে? আমার নেক্সট জেনারেশনের শিক্ষার্থীরা আমাদের শিক্ষকদের মত ব্রিলিয়ান্ট শিক্ষার্থী হিসেবে তৈরি হবে না। আমি বলবো এসব ছেলেমেয়েরা অপুষ্টিতে ভুগছে। কেন তাদের কিছুই ব্রিলিয়ান্ট টিচার আছে এবং তাদের কাছ থেকে কিছু পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু তারা তা পাচ্ছে না।
প্রশ্নঃ শিক্ষকরা কেন সময় দিতে পারছেন না বলে মনে করেন?
সেটা ব্যক্তিগত উন্নয়নের কারণে, গবেষণার কারণে, বাইরে লেখালেখি করতে হয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পার্টটাইম পড়ান অনেকে আছে। এসবের কারণে আমার শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন । আমার শিক্ষার্থীরা যে পরিমাণ কোয়ালিটি এডুকেশন পাওয়ার কথা ছিল তা তারা পাচ্ছেন না।
প্রশ্নঃ বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কী কী ভূমিকা পালন করা উচিত?
আমাদের শিক্ষকদের তাদের দায়িত্বের প্রতি আরো যত্নবান হতে হবে । শিক্ষার্থীদের সময় দিতে হবে । যেমন আমার কথাই বলি , বেস্ট কিছু আমার শিক্ষার্থীদের দিয়েছি । আমি যখন ক্লাস নিতে যেটা আমি কখনোই ক্লাস নোট ছাড়া ক্লাসে যেতাম না। দ্বিতীয়ত, আমি কখনো এক মিনিট দেরিতে ক্লাসে যেতাম না। আমার সময়ের যেমন দাম আছে আমার ছেলেমেয়েদের সময়েরও দাম আছে। আমি যদি পাঁচ মিনিট পরে যাই তাহলে তারা এই সময়ে যে নতুন কিছু শিখতে পারতো তা থেকে বঞ্চিত হতো ।
ক্লাস শেষে আমি ডিপার্টমেন্টে বসতাম এবং সকলকে ওয়েলকাম করতাম তাদের একাডেমিক ও পার্সোনাল সব বিষয় নিয়ে ডিসকাস করতাম । আমার দেশের সব শিক্ষকরা যদি এমন করে তাহলে কেমন হবে? আমার অনেক ব্রিলিয়ান্ট ছেলে মেয়ে তৈরি হবে এটা আমি ইনসিওর করতে পারবো। শিক্ষকরাই পারে একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোন আলাদা কাউন্সিলের প্রয়োজন পড়বে না । কারণ একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মানসিক ভাবে কাউন্সিল করবেন । দিস আর দি ভেরি ইম্পর্টেন্ট থিংস। একজন শিক্ষক হবে অভিভাবক, বন্ধু এবং একজন শিক্ষক তো বটেই । আমি মনে করি একজন শিক্ষক সারা জীবনই একজন ছাত্র। যে শিক্ষক নিয়মিত পড়াশোনার মধ্যে থাকে না সে কখনো ভালো শিক্ষক হতে পারে না। যে শিক্ষক নিজেকে সারা জীবন একজন পূর্ণকালীন ছাত্র হিসেবে মনে করতে পারেন, উনিই হবেন জ্ঞানী। আর তিনিই জ্ঞান দিতে পারবেন শিক্ষার্থীদের। ভালো শিক্ষক হতে হলে শিক্ষার্থীদের এক্সেস দিতে হবে ।
প্রশ্নঃ বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে তাল মিলিয়ে সবসময় র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এর কারণ কি বলে মনে করেন?
বিশ্বের বেশ কিছু সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমন রেংকিং করে থাকে। তারা বেশ কিছু বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই তথ্য দিয়ে থাকেন। যেমন: শিক্ষার্থীদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিকেশন্স এর উপর, গবেষণার ওপর, একাডেমিক রেজাল্ট, শিক্ষার্থীরা কেমন গবেষণায় জড়িত রয়েছে, নাম্বার অফ পিএইচডি, এসব মেজারমেন্টের মাপকাঠি হিসেবে ধরে রেংকিং হতে পারে।
আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র্যাংকিংয়ে নাই। আমি বলব হতাশ হবার কিছু নেই । এটা না থাকার মানে এই নয় যে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভালো শিক্ষা ও গবেষণা হচ্ছে না । হচ্ছে । আমাদের শিক্ষকরাও গবেষণা ও পিএইচডি করছে। কিন্তু আরেকটা বিষয় হচ্ছে আমাদের গবেষণা বাবদ যে ফান্ড দেওয়া হয় সেটা খুবই কম। শিক্ষকরা যে টাকা পান তা দিয়ে ভালো মানের গবেষণা করা সম্ভব নয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অবস্থার কারণ অনুকূল পরিবেশ নেই এখানে, অর্থের অভাব রয়েছে, টেকনোলজি ও ল্যাব এর অভাব আছে ইত্যাদি এই সার্বিক দিক বিবেচনা করলে আমরা দেখব আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেন র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে আছে।
কিন্তু আমি কখনোই এটা স্বীকার করবো না আমার শিক্ষকরা বেশি ভালো গবেষক নয়। নো। তারা ভালো গবেষক। আমাদের হতাশ হবার কিছু নেই যে ব্যাংকিং এর পজিশন কত, আমাদের শিক্ষকরা অনেক ব্রিলিয়ান্ট তারা অনেক ভালো পড়ান।
প্রশ্নঃ সার্ভিস ডেলিভারীতে শিক্ষকদের যে কমতির কথা বললেন এমন সময় নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মানের উপর কোন প্রভাব ফেলবে কি?
মানের উপর প্রভাব পড়তে পারে। এখানে আমার একটা সাজেশন আছে। কিন্তু আমি সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। হায়ার এডুকেশন কে বৃদ্ধি করছেন বহু মানুষ এতে উপকৃত হবে। কেবলমাত্র আমাদের এনসিওর হতে হবে ঐসব ইউনিভার্সিটি তে ভালো টিচার দিতে হবে। এখানে আমার একটা ভালো প্রস্তাব আছে। যেসব ভালো শিক্ষক কেবল রিটারমেন্টে যাচ্ছেন তাদের ঐসব বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। চুক্তিভিত্তিক পুরোটা ভালোভাবে গড়ার জন্য ।
প্রশ্নঃ নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ফলে শিক্ষিত বেকার তৈরি হচ্ছে কি না?
শিক্ষিত বেকার তো তৈরি হবেই। শুরুতে কিছু দিন বা কয়েক বছর এমনটা হবে হয়তো। তারপর এরা আর শিক্ষিত বেকার হবে না। এক সময় এরা উদ্যোক্তা তৈরি হবে। বর্তমান সময়ে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে এখান থেকেই। চাকরি আমি করব না, চাকরি আমি দেবো। এর জন্য তরুণদের তৈরি হতে হবে। তাদের স্কিল ডেভলপমেন্ট করতে হবে। যাতে তারা চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে । টেকনোলজির বিস্ফোরণ ঘটেছে world-wide সেটা বাংলাদেশেও ঘটছে। এটাকে কাজে লাগিয়ে তারা ভালো আর করছে। তাই আমি মনে করি সামরিক কিছুদিনের জন্য বেকার হবে, কিন্তু এক সময় তারা বেকার থাকবে না।
প্রশ্নঃ স্যার, শিক্ষকদের দ্রুত সময়ে পদোন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এতে করে কি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মান আগের মতই থাকবে বলে মনে করেন?
আমি মনে করি শিক্ষকদের মান ঠিক আছে। তারা অনেক ট্যালেন্টেড। কিন্তু তাদের পদোন্নতির বিষয়ে দ্রুত করা এটা ঠিক না। এখানে আরো কিছু টার্মস এন্ড কন্ডিশন এড করা যেতে পারে। সময় ঠিক রেখেও পাবলিকেশন্স এর সংখ্যা বৃদ্ধি করা যেতে পারে । শিক্ষকদের পিএইচডি ছাড়া প্রফেসর এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদোন্নতি হবে না। নো। বই লিখতে হবে, বই অনুবাদ করতে হবে। তা না হলে প্রমোশন হবে না। এমনটা করতে হবে।
প্রশ্নঃ শিক্ষক রাজনীতি কি জরুরী? এবং শিক্ষক সংগঠনগুলো তাদের গুণগত মান উন্নিত করতে কি ভূমিকা রাখছে?
না, শিক্ষক রাজনীতির জরুরী নয়। আর এটা শিক্ষার্থীদের উপর প্রভাব ফেলে। তারা লেখাপড়ার দিকে সময় কম দিতে পারে। এইরকম শিক্ষকদের সংখ্যাও খুবই কম। কিন্তু এখনো এটা ক্যাম্পাসকে দূষিত করে। ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে রাজনীতি। আগেও রাজনীতি ছিল কিন্তু তাদের মাঝে একটা সম্প্রীতি সবসময় অক্ষুন্ন থাকতো। এখন রাজনীতিতে তারা বিভক্ত হয়ে যাবে এবং সম্প্রীতি নষ্ট হবে। কিন্তু আগের দিনে তা ছিল না। এখন দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে বেশি।
ইমরান আলী৷
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়৷
গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে ইভ্যালীর দেনার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০৩.৮০ কোটি টাকা, মাত্র ৬৫.১৭ কোটি টাকার চলতি সম্পদ দিয়ে কোন অবস্থাতেই কোম্পানিটি এই দায় পরিশোধ করার সক্ষমতা নেই বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক গোলাম রব্বানী তার ফেসবুক টাইমলাইনে ইভ্যালি সহ দেশের সকল অনলাইন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে নজরদারির আওতায় নিয়ে আসার আহবান জানিয়ে
একটি পোস্ট করেন, সেই পোস্টে তার ভক্ত অনুসারীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছন।
হামার দেবীগঞ্জ-র পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো,
ইভ্যালি সহ দেশের সকল অন-লাইন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে যথাযথ নজরদারির আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষত, ইভ্যালি যেভাবে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে গ্রাহকদের প্রয়োজন বা অনেক ক্ষেত্রে লোভকে কাজে লাগিয়ে বিনিয়োগ টানছে, তাতে আবার একটা 'ডেসটিনি চিত্র' দেখার শঙ্কা থাকছেই!
১. প্রশ্নঃ আমি ধনী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অল্পতুষ্টি অবলম্বন কর; ধনী হয়ে যাবে।
২. প্রশ্নঃ আমি সবচেয়ে বড় আলেম (ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী) হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, তাক্বওয়া (আল্লাহ্ ভীরুতা) অবলম্বন কর, আলেম হয়ে যাবে।
৩. প্রশ্নঃ সম্মানী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সৃষ্টির কাছে চাওয়া বন্ধ কর; সম্মানী হয়ে যাবে।
৪. প্রশ্নঃ ভাল মানুষ হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপকার কর।
৫. প্রশ্নঃ ন্যায়পরায়ণ হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা নিজের জন্য পছন্দ কর; তা অন্যের জন্যেও পছন্দ কর।
৬. প্রশ্নঃ শক্তিশালী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর উপর ভরসা কর।
৭. প্রশ্নঃ আল্লাহর দরবারে বিশেষ মর্যাদার অধিকরী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী আল্লাহকে স্মরণ (জিকির) কর।
৮. প্রশ্নঃ রিযিকের প্রশস্ততা চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সর্বদা অযু অবস্থায় থাকো।
৯. প্রশ্নঃ আল্লাহর কাছে সমস্ত দোয়া কবুলের আশা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, হারাম খাবার হতে বিরত থাকো।
১০. প্রশ্নঃ ঈমানে পূর্ণতা কামনা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, চরিত্রবান হও ৷
১১. প্রশ্নঃ কেয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে গুনামুক্ত হয়ে সাক্ষাৎ করতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, জানাবত তথা গোসল ফরজ হওয়ার সাথে সাথে গোসল করে নাও।
১২. প্রশ্নঃ গুনাহ্ কিভাবে কমে যাবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী ইস্তেগফার (আল্লাহর নিকট কৃত গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা) কর।
১৩. প্রশ্নঃ কেয়ামত দিবসে আলোতে থাকতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, জুলুম করা ছেড়ে দাও।
১৪. প্রশ্নঃ আল্লাহ্ তা’য়ালার অনুগ্রহ কামনা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর বান্দাদের উপর দয়া-অনুগ্রহ কর।
১৫. প্রশ্নঃ আমি চাই আল্লাহ্ তা’য়ালা আমার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখ।
১৬. প্রশ্নঃ অপমানিত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যিনা (ব্যভিচার) থেকে বেঁচে থাকো।
১৭. প্রশ্নঃ আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাঃ) এর নিকট প্রিয় হতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের (সাঃ) এর নিকট পছন্দনীয় তা নিজের জন্য প্রিয় বানিয়ে নাও।
১৮. প্রশ্নঃ আল্লাহর একান্ত অনুগত হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, ফরজ সমূহকে গুরুত্বের সহিত আদায় কর।
১৯. প্রশ্নঃ ইহ্সান সম্পাদনকারী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, এমন ভাবে আল্লাহর এবাদত কর যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ অথবা তিনি তোমাকে দেখছেন।
২০. প্রশ্নঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! (সাঃ) কোন বস্তু গুনাহ্ মাফে সহায়তা করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন,
ক) কান্না। (আল্লাহর নিকট, কৃত গুনাহের জন্য)
খ) বিনয়।
গ) অসুস্থতা।
২১. প্রশ্নঃ কোন জিনিষ দোযখের ভয়াবহ আগুনকে শীতল করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, দুনিয়ার মুছিবত সমূহ।
২২. প্রশ্নঃ কোন কাজ আল্লাহর ক্রোধ ঠান্ডা করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, গোপন দান এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা।
২৩. প্রশ্নঃ সবচাইতে নিকৃষ্ট কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, দুশ্চরিত্র এবং কৃপণতা।
২৪. প্রশ্নঃ সবচাইতে উৎকৃষ্ট কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সচ্চরিত্র, বিনয় এবং ধৈর্য্য।
২৫. প্রশ্নঃ আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচার উপায় কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপর রাগান্বিত হওয়া পরিহার কর।
আল্লাহ্ তা’য়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুণ।
ক্যাম্পাস ডেস্ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স শ্রেণির বিভিন্ন বর্ষ/সেমিস্টারে ভর্তি এবং পরীক্ষার ফরম পূরণ অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে। আগামী ২১ জুন থেকে অনলাইনে এসব কার্যক্রম শুরু হবে।
গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এরআগে গত বৃহস্পতিবার এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
শিক্ষার্থীরা ভর্তি ও পরীক্ষার ফি ব্যতীত হল এবং বিভাগ/ইনস্টিটিউটের যাবতীয় পাওনাদি পরীক্ষার পর পরিশোধ করতে পারবেন। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবার ভর্তির বিলম্ব ফি মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা http.//student eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভর্তি ও পরীক্ষার ফরম পূরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।
সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্পোর্টস রিপোর্টার : প্রিমিয়ার ক্রিকেটে সুপার লিগে জয় পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী ও প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। গতকাল আবাহনী ১ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে। প্রাইম দোলেশ্বর ৬ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামালকে। সুপার লিগে আবাহনী ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ম্যাচটি শেষ ওভারে রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে।
৬ বলে ৯ রান প্রয়োজন ছিল আবাহনীর। তানজিম হাসান সাকিবের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ১ বল হাতে রেখে ১ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে আবাহনী। এই জয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। ১৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২০। ১ ম্যাচ কম খেলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে গাজী গ্রুপ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ১৯.১ ওভারে ১৩০ রানে অলআউট হয় মাহমুদউল্লাহর দল। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আবাহনী।
তবে দারুণ ফিল্ডিং করা গাজী গ্রুপের মাহেদি বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং মিস করে আবাহনীর জন্য সহজ করে দিলো। শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচে জয় ১ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
৪৯ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলা শান্তই ম্যাচসেরা হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে মুশফিক রহিম, মোসাদ্দেক হোসেন, নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন কেউই দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারেননি। ইনজুরি থেকে ফেরা লিটন দাসের ব্যাট থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে। তিনবার জীবন পেয়ে এই ব্যাটসম্যান ২২ রান করেছেন। ১৭তম ওভারে মূলত ম্যাচে ফেরে আবাহনী। মুকিদুল ইসলামের ওই ওভারে ২১ রান তুলে নেন আফিফ ও শান্ত জুটি। আবাহনীর ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল, ১৯তম ওভারের শেষ বলে মেহেদী হাসানের বাজে ফিল্ডিংয়ে বাউন্ডারি পায় আবাহনী।
তাতেই শেষ ওভারে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯ রানের। প্রথম দুই বলে ৫ রান নিয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল আবাহনী। কিন্তু তৃতীয় বলে জাকির হাসানের দুর্দান্ত থ্রোতে মেহেদী হাসান রানা (৯) রান আউট হলেও ম্যাচ জমে ওঠে। শেষ পর্যন্ত পঞ্চম বলে ‘জুনিয়র’ সাকিবের ডাবলসে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে আবাহনী। সাকিব ৪ ও আরাফাত সানি ১ রানে অপরাজিত ছিলেন। গাজী গ্রুপের বোলারদের মধ্যে মুকিদুল ৩৮ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন।
এছাড়া মেহেদী হাসান ও মাহমুদউল্লাহ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। এর আগে সাইফউদ্দিনের বোলিং তোপে গাজী গ্রুপ ৫ বল আগেই ১৩০ রানে অলআউট হয়। দলের হয়ে সৌম্য সরকার সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন। এছাড়া জাকির হাসান ২৭ ও মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রানের ইনিংস। আবাহনীর হয়ে সাইফউদ্দিন ১৮ রানে নেন ৪ উইকেট। মেহেদী হাসান রানা ৩২ রানে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া তানজিম হাসান সাকিব নেন ২ উইকেট।
দিনের অপর ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে প্রাইম দোলেশ্বরকে ১২৪ রানের লক্ষ্য দেয় নুরুল হাসান সোহানের শেখ জামাল। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইমরানউজ্জামান ও সাইফ হাসান মিলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন। ইমরান ২৪ বলে ২০ রান করে আউট হলেও সাইফ হাসান ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন। ৩৩ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস উপহার দেন সাইফ। এই ইনিংসই মূলত জয়ের মঞ্চ গড়ে দেয় প্রাইম দোলেশ্বরের।
শেষ পর্যন্ত ফজলে মাহমুদ (২১), মার্শাল আইয়ুব (১২), শামিম হোসেন (৫*) ও শরিফউল্লাহর (৫*) অবদানে ১৪ বল হাতে রেখে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে প্রাইম দোলেশ্বর।
সোহরাওয়ার্দী শুভ ও মোহাম্মদ আশরাফুল দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে রেজাউর রহমান ও শফিকুল ইসলামের বোলিং নৈপুণ্যেই ১২৩ রানে অলআউট হয় শেখ জামাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান।
২৪ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে তিনি নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। এছাড়া ইমরুলের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রানের ইনিংস। বল হাতে দুই উইকেট নিলেও ব্যাটিংয়ে চার রানের বেশি করতে পারেননি সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আশরাফুল। রেজাউর রহমান ২৩ রান খরচায় তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া শফিকুল ইসলাম ১১ রানে নিয়েছেন দুটি উইকেট।
সাঈদ চৌধুরী: বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ শাহ আবদুল হান্নান ছিলেন বাংলাদেশে অর্থনীতির মুক্তিসূর্য। যুগন্ধর প্রতিভার এই মানুষ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের অন্যতম উদ্যোক্তা ও সাবেক চেয়ারম্যান, দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম উদ্যোক্তা-প্রতিষ্ঠাতা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন।
১৯৮৯ সালে প্রথম তাঁর মুখোমুখি হই। দিনটা যতদূর মনে পড়ে ১ আগস্ট। আমার অন্তরে এই মানুষটি সেদিনই জায়গা করে নিয়েছিলেন। প্রথম দিনের কথাগুলো আজও মনে রয়ে গিয়েছে। আল ফালাহ ভবনের তৃতীয় তলায় ইসলামী স্কলারদের সাথে অর্থনীতি বিষয়ে এক বিশেষ আলোচনা ছিল। ইসলামী ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান মরহুম মুহাম্মদ ইউনুছ আমাকে সেখানে নিয়েছিলেন।
সেদিনের প্রায় প্রতিটি কথা বার বার মনে পড়ে। এরপর যতবার দেখা হয়েছে, কী আপন হৃদয়তা দিয়ে তিনি কাছে টানতেন। খুব সহজে সবাইকে আপন করে নিতেন তিনি। সেই মমতাভরা চেহারা আজ বাক্সময় হয়ে উঠেছে হৃদয় কোণে।
আশির দশকে পারিবারিক ব্যবসায় যখন সাউদী আরব ছিলাম তখন মুহাম্মদ ইউনুছের সাথে আমার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। ’৮৫ সালের এক ঐতিহাসিক ক্ষণে আবহা থেকে পবিত্র মক্কা হয়ে মদীনায় এসে পৌছি। আমাদের জন্য অপেক্ষমান ছিলেন ভাইজান মাওলানা রশীদ আহমদ চৌধুরী। তিনি মদীনায় ব্যবসা পরিচালনা করেন। তখন আমাদের পারিবারিক মূল ব্যবসা খামিস মতির মাহাইল আল আবহা।
বড় ভাইজান ডা. শাব্বির আহমদ চৌধুরী ১৯৭২ সাল থেকে সাউদী আরবে বসবাস করেন। প্রায় এক যুগ ছিলেন মক্কা মুকাররমায়। তারপর চলে যান মদীনা মুনাওয়ারায়। খামিস মতির বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয়েছে, খুব বেশি দিন হয়নি। সেখানে তিনি আমাদের কন্সট্রাকশন ব্যবসা তদারকি করেন। মেঝো ভাইজান হাফেজ মাসউদ আহমদ চৌধুরী ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও গাওয়া দেখাশোনা করেন। সেঝো ভাইজান মাওলানা ফায়্যাজ আহমদ চৌধুরী ওয়েল্ডিং এবং আমি ওয়ার্কশপ এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট পরিচালনা করি।
বাদশাহ ফাহাদ আসবেন মদীনা মুনাওয়ারায়। তিনি আসছেন খাদেমুল হারামাইন শরিফাইন উপাধি ধারণ করে অর্থাৎ কাস্টোডিয়ান অফ টু হলি মস্কস বা দুই পবিত্র মসজিদের অভিভাবক হিসেবে। হিজ ম্যাজেস্টি উপাধি বাদ দিয়ে নতুন উপাধি গ্রহণের পর এটি তাঁর প্রথম মদীনায় আগমন। বাদশাহ ফাহাদকে কাছ থেকে দেখা এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স পরিদর্শন এবং মক্কা-মদীনা জিয়ারত ও সরেজমিন ফিচার তৈরী করাই ছিল আমার মুখ্য উদ্দেশ্য।
বিশ্বব্যাপী পবিত্র কুরআনের বিশুদ্ধ চর্চা ও অনুশীলন ছড়িয়ে দেয়ার ব্রত নিয়ে সে বছর (১৯৮৫ সালে) ২ লাখ ৫০ হাজার বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে মদীনায় এ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করেছেন বাদশাহ ফাহাদ। যেখান থেকে অনুবাদ ও অনুবাদ ছাড়া দু’ধরনের কুরআন মুদ্রণ ও বিতরণ করা হয়। অন্ধজনও যাতে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন সেজন্য রয়েছে ব্রেইল পদ্ধতির সংস্করণ। এ প্রকল্পে বিশুদ্ধ তেলাওয়াতের অডিও ও ভিডিও ফর্মে কুরআনের সিডি, ডিভিডি তৈরি ও সরবরাহ করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৭ কোটি কুরআন ছেপে বিশ্বব্যাপী বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে সাউদি আরবের সাবেক রাষ্ট্রদূত ফুয়াদ আব্দুল হামিদ আল খতীব কর্তৃক আমন্ত্রণের সুযোগ পেয়ে নিজেকে খুব প্রসন্ন মনে হল। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে যারা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে মুহাম্মদ ইউনুছও ছিলেন। খতীবের প্রতি কৃতজ্ঞতায় ভরে ওঠে মন। ইসলামী ব্যাংক, ইবনেসিনা হাসপাতালসহ বাংলাদেশে তার অনেক সৃষ্টিশীল কর্মকান্ড ইতিহাস হয়ে আছে। তারপরও একজন রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাকে যেভাবে জেনেছি, সেদিন মনে হল তিনি তার চেয়ে অনেক বড় মাপের মানুষ।
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনুছ ছিলেন শাহ আবদুল হান্নানের খুবই আপনজন। ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সফল সংগঠক ছিলেন। তিনি যখন সেক্রেটারি জেনারেল তখন থেকেই পরস্পরে ঘনিষ্ঠ। ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সময় তাঁরা আরো কাছে এসেছিলেন। দু’জনেই ইন্টেলেকচুয়াল পর্যায়ে কাজ করেছেন ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্যে। তখন ইসলামিক ইকোনোমিকস রিসার্চ ব্যুরোর মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকিং ভাবনার ভিত্তি রচনা হয়। বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং খাতের অন্যতম পথিকৃত এম আজিজুল হক ছিলেন একাজের অন্যতম নিয়ামক।
মূলত মুহাম্মদ ইউনুছ প্রায়ই শাহ আবদুল হান্নান সম্পর্কে কথা বলতেন। আর তাঁর মাধ্যমেই এই ক্ষণজন্মা পুরুষের সাথে আমার পরিচয় ঘটে। শাহ আবদুল হান্নানকে যারা কাছে থেকে দেখেছেন, কেবল তারাই বলতে পারবেন তিনি কেমন মানুষ ছিলেন। স্বভাবের মৌলিক কাঠামো ও রকম অন্য আর দশজনের মত নয়। একবারে নির্মোহ, নির্লোভ ও নিরহংকারী বলতে যা বুঝায়। শিক্ষাবিদ ও ইসলামী চিন্তাবিদ হিসেবে তিনি মুসলিম বিশ্বে ব্যাপকতা লাভ করেছিলেন। লেখক হিসেবে দেশকালের সীমানা ছাড়িয়ে গেছেন। যেখানে ঋদ্ধ হতে হয় ভিন্ন এক পাঠ-অভিজ্ঞতায়।
ইস্কাটন গার্ডেন রোডের তাঁর সরকারি কোয়াটারে এবং গোড়ানের বাসায় বহুবার গিয়েছি। অত্যন্ত সাদাসিধে জীবন-যাপন করতেন। পরিচয়ের পর থেকে প্রায়ই শাহ আবদুল হান্নানকে ঘিরে এক ধরনের আলোর বিকিরণ অনুভব করতাম। ২০০০ সালে লন্ডন আসার পরও যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা করেছি। ২০০১ সালে সাপ্তাহিক ইউরো বাংলা প্রতিষ্ঠার খবর পেয়ে তিনি খুব খুশী হয়েছেন এবং নিয়মিত তাঁর লেখা আমরা প্রকাশ করেছি।
শাহ আবদুল হান্নান অর্থনীতি ও সমাজ সংস্কার বিষয়ে আশ্চর্যময় দিক নির্দেশক। প্রতিটি বিষয়ে বাস্তব ও বিজ্ঞানসম্মত যৌক্তিকতা দিয়ে লিখেছেন একের পর এক প্রবন্ধ ও নিবন্ধ। তাঁর সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের ধারালো রচনাশৈলী পাঠকের হৃদয় ছুঁয়েছে। এতে প্রচারের আতিশয্য নেই, বরং আছে নিখাদ অনুভবের আলপনা। বহুবার তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছি। গভীর বিশ্লেষণ আমাকে মুগ্ধ করেছে। শুধু রাজনৈতিক ইতিহাস নয়, দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থাও বর্ণনা করেছেন। মননশীল আলোচক হিসেবে তাঁর কথা বলার ধরন খুবই আকর্ষণীয়। আলোচনার মাঝে জীবন থেকে নেয়া রসালো গল্প বলার ক্ষমতা আজও মনে পড়ে।
শাহ আবদুল হান্নান ছিলেন সৃজনশীল মানুষ। প্রভাব বিস্তারকারী লেখক। তাঁর গ্রন্থসমূহ এবং আত্মজীবনী ‘আমার কাল, আমার চিন্তা’ পড়লে তাকে কিছুটা উপলব্ধি করা যাবে। অন্তরের তাগিদে লেখা। যে ইন্সপাইরেশন বহু মানুষের জীবনে প্রভাবক হয়ে উঠেছিল। লেখাগুলো টেনে নেয় শিকড়ের কাছাকাছি। তরুণ প্রজন্ম আত্মপ্রত্যয়ী হয় এই লেখা থেকে। বর্তমানের সাথে অতীতকে মিলিয়ে দেখার সুযোগ করে দেয় এ লেখাগুলো। বহুদিন পরেও তাঁর বইয়ের পাতা ওল্টালে লেখাগুলোকে হয়তো অন্য রঙে আবিষ্কার করবেন পাঠক।
২০১৪ সালে বিশ্বসেরা ১০০০ ব্যাংকের তালিকায় মনোনীত হয় বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাংক ‘ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড’। বৃটেনের শতাব্দী প্রাচীন আর্থিক ম্যাগাজিন ‘দি ব্যাংকার’ বিশ্বের এক হাজার শীর্ষ ব্যাংকের তালিকায় প্রথম বারের মতো বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের নাম অন্তর্ভুক্ত করে। এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় জড়িতের মধ্যে তখন শাহ আবদুল হান্নানের একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করি। ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে তিনি বলেছিলেন, ১৯৭৪ সালে সেনেগালের রাজধানী ডাকারে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) চার্টারে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশসহ ২৮টি মুসলিম দেশ। পর্যায়ক্রমে নিজেদের দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ইসলামী মডেলে ঢেলে সাজাবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয় সে চার্টারে। আর তখন থেকেই ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন জাগে তাঁদের মনে।
ইসলামী ব্যাংকের কর্ণধারদের কথা স্মরণ করে শাহ আবদুল হান্নান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্ণর এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম খালেদ ছিলেন প্রথম উপদেষ্টা। শিল্প ব্যাংক এবং রূপালী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম এ করিম ছিলেন প্রথম এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট। সোনালী ব্যাংক থেকে এসে যোগ দেন আযীযুল হক ও এএফএম গোলাম মোস্তফা। অগ্রণী ব্যাংক থেকে ইউসুফ চৌধুরী। তাদের নিয়ে প্রথম ব্যবস্থাপনা টীম কাজ শুরু করে। এছাড়া শীর্ষ নির্বাহীদের মধ্যে কাজ করেছেন সোনালী ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর লুৎফর রহমান সরকার, অগ্রণী ব্যাংক থেকে এসে যোগদানকারী কামাল উদ্দীন চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আবদুর রকিব প্রমুখ।
শাহ আবদুল হান্নান বাংলাদেশে ইসলামী অর্থনীতিকে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে শিখিয়েছেন। কল্যাণমুখী কার্যক্রমের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে ইসলামী ব্যাংক। এই ব্যাংক সফল হওয়ায় অনেক ব্যাংকই এখন ইসলামী পদ্ধতির ব্যাংকিংয়ে এসেছে। দুটি ব্যাংক প্রচলিত ধারা থেকে ইসলামী পদ্ধতিতে রূপান্তরিত হয়েছে। সারা দুনিয়াতে এ ধারার ব্যাংকিং চালু হচ্ছে। বিভিন্ন বহুজাতিক ব্যাংকও এখন ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেছে।
অভিনব জীবনবোধের অধিকারী শাহ আবদুল হান্নান তাঁর প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা দিয়ে মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় অমর হয়ে থাকবেন। জীবনকে অনুভবের জন্য তাঁর এক অত্যাশ্চর্য ক্ষমতা ছিল। সমাজ গঠনে আত্মপ্রত্যয়ী এই মানুষটি ছিলেন সফল সাধক। তাঁর চিরায়ত সৃজন-কর্মগুলোকে সমাজ সংস্কারকসহ মানবতাবাদী মানুষ বহুকাল মনে রাখবেন। আমাদের ইতিহাসে ও সংস্কৃতি-ঐতিহ্যে এই বাস্তবতা প্রখরভাবে উজ্জ্বল।
২ জুন ২০২১ বুধবার সকাল ১০টা ৩৭ মিনিটে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ইন্তিকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন। মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।
গানটির কথা এরকম- ‘শিল্পী হয়ে শিল্পের প্রতি অসম্মান সইব না / শিল্পী হয়ে শিল্পীর অপমান সইব না / উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর পরীমনি।’
গানটির কথা, সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন মোমো রহমান।
‘নারী জাতি মায়ের জাতি আর রবে না বঞ্চিত / পরীমনিরা সব বিচার পাবে কেউ রবে না অবহেলিত / উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর পরীমনি’- এভাবেই সুরে সুরে প্রতিবাদ জানান হিরো আলম।
প্রসঙ্গত, ৯ জুন মধ্যরাতে সাভারে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঘটনার চার দিন পর রোববার রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এবং রাত ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনা প্রকাশ করেন নায়িকা পরীমনি।
সোমবার সকালে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন তিনি। ওই দিনই প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে মাদক ও ইয়াবা জব্দ করা হয়।